রিপাবলিক টিভির সাংবাদিকের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সরাসরি থানায় দায়ের হল লিখিত অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া একটি অভিযোগের কপি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। যেখানে দেখা যাচ্ছে সিনিয়র সাংবাদিক ও রিপাবলিক বাংলা নিউজ চ্যানেলের এডিটর ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে সংবিধান বিরোধী ও ঘৃণাসূচক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন জনৈক অ্যাডভোকেট অতনু চ্যাটার্জি।
এই মন্তব্যকেই ঘিরেই শুরু হয়েছে আইনি লড়াই। বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫-এ পাটুলি থানার অফিসার ইন চার্জের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন অ্যাডভোকেট চ্যাটার্জি। অভিযোগে বলা হয়েছে, "সেক্যুলারিজম" শব্দটি ভারতীয় সংবিধানের মূল ভিত্তির অন্যতম— এটি প্রস্তাবনায় উল্লেখিত এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের মৌলিক স্তম্ভ। এমন পরিস্থিতিতে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের মুখে এ ধরনের মন্তব্য শুধু অপ্রত্যাশিতই নয়, বরং তা দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ও সামাজিক সংহতির পরিপন্থী।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এমন একাধিক কনটেন্ট রয়েছে যা "ঘৃণাসূচক বক্তব্য (Hate Speech)" হিসেবে গণ্য করা যায় এবং সমাজে উস্কানিমূলক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে জাতীয় সংহতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক সম্প্রীতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অ্যাডভোকেট চ্যাটার্জির দাবি, এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবেই বাকস্বাধীনতার পরিসরে পড়ে না বরং তা ভারতীয় ফৌজদারি আইনের আওতায় বিচারযোগ্য অপরাধ। সেই ভিত্তিতেই তিনি ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাটুলি থানা কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা জানা যায়নি তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেরই মতে উস্কানিমূলক খবর পরিবেশন ও সংবিধান লঙ্ঘনের জেরে গ্রেপ্তার হতে পারেন ঐ সাংবাদিক তবে খোদ ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বা রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে গোটা ঘটনাটি ঘিরে সমাজ মাধ্যমে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। যদিও ভাইরাল হওয়া অভিযোগের কপিটির সত্যটা যাচাই করেনি কৃষ্ণনগর ডট কম।
ময়ূখ রঞ্জনের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোষ্ট